ধর্মের নামে মানুষ হত্যাকারীরা ইসলামের সর্বনাশ করছে : প্রধানমন্ত্রী

ধর্মের নামে মানুষ হত্যাকারীরা ইসলামের সর্বনাশ করছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মানুষের সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় তাঁর সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসলামের নামে যারা মানুষ হত্যা করছে তারা এ পবিত্র ধর্মকে সর্বনাশ করছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি না, যারা ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করছে তা কীভাবে ইসলামের জন্য ভালো হতে পারে। আমি মনে করি, এতে করে ইসলামকে কলঙ্কিত এবং পবিত্র ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।’ এ ধরনের কাপুরুষোচিত কর্মকাণ্ডকে দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা প্রকৃতপক্ষে ইসলামের ক্ষতি করছে।

প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে বন্যাদুর্গতদের সাহায্যার্থে অনুদানের চেক গ্রহণকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সমস্যা আসবে এবং আমরা এসব সমস্যা সমাধান করব। আমাদের অবশ্যই সমস্যা সমাধান করতে হবে। আমরা যেভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করছি, ইনশাল্লাহ সেভাবেই মানুষের সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করব।’

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সবার সহযোগিতা কামনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে তাঁর সরকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ চলতে দেবে না। তিনি বলেন, ‘তাই আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সবার সহযোগিতা চাই। যে যেখানেই থাকুন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে- যাতে কেউ এই দুই দানবের সঙ্গে জড়িত হতে না পারে।’

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা মোকাবিলায় তাঁর সরকার বসে নেই। বরং বন্যাদুর্গতদের কাছে খাদ্য, পানীয় এবং ওষুধের মতো ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর দল আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী বন্যাদুর্গতদের সাহায্যার্থে আটটি টিম গঠন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এটি সত্যি যে বন্যা গ্রামের মানুষের জন্য দুর্ভোগ বয়ে আনে। তবে এতে পলিমাটি বয়ে আসার কারণে জমি উর্বর হয় এবং দেশের মানুষ লাভবান হয়। বন্যার পরে এ পলিমাটি দৃশ্যমান হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্ষার সময় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ধারাবাহিক ঘটনা। কিন্তু আমরা নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং মুদ্রাস্ফীতির হার নিম্নমুখী করতে সক্ষম হয়েছি।’ বন্যা দুর্গতদের সাহায্যার্থে আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থাগুলোর কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের অর্থ দুর্গত মানুষের সেবায় ব্যবহার করা হবে।

এর আগে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) অধীন ৩১টি ব্যাংক এবং ওয়ালটন গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা), ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ ও গুরুদুয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুদানের চেক দেয়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

বিএবি সভাপতি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment